মেয়েটি যখন আমার কাছে আসে, অফিসের নিয়মানুযায়ী ওকে ওর আমার কাছে আসার কারণ জিজ্ঞেস করি। ঠিক ঝর্নার জল পড়ার মত শব্দে হেসে উঠে বললো, "আমার ছেলে কে আমার কাছে এনে দাও। আর রফিক কে সাস্তি দাও" ওর মুখের পোড়া ঘা তখনও শুকোয়নি। বলে কি, এই পুঁচকি, তার সাড়ে তিন বছরের বাচ্চা! ও বোঝেই না, এসবের জন্যে ওকে কোর্টে মামলা লড়তে হবে! ওর কথা আর কি বলি!? আমি ই বুঝি না, এতোটা হিংসাত্মক ভাবে কারুর গায়ে ফুটন্ত তেল ও জল ঢেলে পুড়িয়ে দিলে সরকারি হাসপাতাল থেকে কেন সঙ্গে সঙ্গে ই পুলিশ কে জানানো হবে না। সেপ্টেম্বর মাসে পোড়ালো, নভেম্বরে FIR হলে কেন অপরাধী পালাবে না? কোনো সমন্বয় নেই। এখন ও ওর গোপন জবানবন্দি (164) হয়নি। আমার যতদূর জানা (যদি না ভূল হয়), পুলিশের দায়িত্ব ওকে কোর্টে নিয়ে যাওয়া। ওর বাড়ি এতোটাই দূরের এক গ্রামের প্রান্তে, ওকে ওর তদন্তকারী অফিসার যখন বলেন, যে ও যেন সকাল ৮ য় থানায় চলে আসে, ও আবার ঐ ঝর্না হাসি টা দিয়ে আমার কাছে এই ছবি পাঠায়! যে কাজ ওর পক্ষে অসম্ভব, তার গুরুত্ব ও ওর কাছে নেই! থানায় ঐ সময় পৌঁছতে হলে হয়তো কোন ভোর রাতে বেরোতে হবে। কে ওকে সঙ্গ দেবে!? এই নিয়ে ভাবি বলেই বোধহয় অনেকেই আমাকে "অন্যরকম" ভাবে। তা ভাবুক। কিন্তু আমি বুঝতে চাই, Interdepartmental Coordination কেন হয়না? কতো দিন উদাসীনতা র জন্যে Victim দের ভোগান্তি চলবে? এই মেয়েটি কবে তার ছেলেকে ফিরে পাবে? কবে রফিক সাস্তি পাবে? মেয়েটি কবে Victim Compensation Scheme এর দরুণ ওর প্রাপ্য টাকা হাতে পাবে......???